বারবার জ্বর, ঠান্ডা লাগা, সংক্রমণ লেগেই থাকে? আবহাওয়ার বদলের সঙ্গে শরীর তাল রাখতে পারছে না? তাহলে এটা কিন্তু কম ইমিউনিটির লক্ষণ হতে পারে। প্রতিবার অসুস্থ হলে ওষুধ না খেয়ে, বরং সমস্যার গোড়ায় গিয়ে শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তোলা অনেক বেশি কার্যকর — এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
চিকিৎসক জানাচ্ছেন, কিছু সহজ জীবনধারার বদলেই ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করা সম্ভব:
১) পর্যাপ্ত এবং গুণমানযুক্ত ঘুমকে গুরুত্ব দিন: ঘুম কোনও বিলাসিতা নয়, বরং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। কম ঘুমে শরীরে সাইটোকাইন নামক সংক্রমণ প্রতিরোধী প্রোটিনের উৎপাদন কমে যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা দিনে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান, তাঁদের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
২) ‘রেইনবো ডায়েট’ মানে রঙিন খাবার খান: একটি সঠিক এবং ব্যালেন্সড খাবারের প্লেট হতে পারে সবচেয়ে বড় ইমিউনিটি বুস্টার। ফল, সবজি ও হোল গ্রেনস ভরপুর থাকুক প্রতিদিনের ডায়েটে। ভিটামিন সি (আমলকি, কমলালেবু), জিঙ্ক (সিডস, ডাল) এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দিকে খেয়াল রাখুন। এগুলি শ্বেত রক্তকণিকা (WBC)-র কার্যকারিতা বাড়ায়। পাশাপাশি দই, আচার ইত্যাদি ফারমেন্টেড খাবার খেলে পেট ভাল থাকে — এখানেই শরীরের ৭০%-এর বেশি ইমিউন সিস্টেমের রহস্য লুকিয়ে থাকে।
৩) হাইড্রেটেড থাকুন, দিনে কমপক্ষে ২.৫–৩ লিটার জল খান: জল শুধু পিপাসা মেটায় না, শরীরের লিম্ফ সিস্টেম সচল রাখে — যা ইমিউন সেল বয়ে নিয়ে চলে গোটা শরীরে। জল কম খেলে শরীর থেকে টক্সিন ঠিকমতো বেরোতে পারে না। বর্ষাকাল বা ভাইরাল জ্বরের সিজনে তুলসি, আদা, হলুদ দিয়ে হার্বাল টি খাওয়া দারুণ উপকারি।
৪) নিয়মিত শরীরচর্চা করুন: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের হালকা বা মাঝারি এক্সারসাইজ যেমন হাঁটা, যোগাসন বা স্ট্রেচিং করলে রক্তসঞ্চালন ভাল হয় এবং ইমিউন সেল সারা শরীরে সঠিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এই অভ্যাস স্ট্রেসও কমায়।
5) স্ট্রেস কমান, মন হালকা রাখুন: দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকা স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল হরমোন বাড়িয়ে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে দেয়। মাইন্ডফুলনেস, ব্রিদিং এক্সারসাইজ, নিয়মিত স্ক্রিন বিরতি নেওয়া — এই অভ্যাসগুলো কর্টিসল কমিয়ে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য দু’টোই ভাল রাখে।
৬) হেলথ চেক-আপ এড়াবেন না: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা যেমন ভিটামিন ডি, বি১২, ব্লাড সুগার, লিভার ফাংশন টেস্ট করলে জানা যায় শরীরে কোনও পুষ্টিগুণের ঘাটতি আছে কিনা। আগে জানলে, আগেভাগেই পদক্ষেপ করে তা ঠিক করে নেওয়া সম্ভব।
৭) হাইজিন বজায় রাখুন: বারবার হাত ধোওয়া, মোবাইল বা দরজার হাতল স্যানিটাইজ করা, ব্যক্তিগত জিনিস (চিরুনি, তোয়ালে) ভাগাভাগি না করা— এসব ছোট অভ্যাসও ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস ছড়ানো রোধে কার্যকর, বিশেষ করে বর্ষাকালে।
ইমিউনিটি বাড়ানোটা কিন্তু কোনও ম্যাজিক নয় — বরং প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় ছোট ছোট পরিবর্তন আনলেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।
চিকিৎসক জানাচ্ছেন, কিছু সহজ জীবনধারার বদলেই ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করা সম্ভব:
১) পর্যাপ্ত এবং গুণমানযুক্ত ঘুমকে গুরুত্ব দিন: ঘুম কোনও বিলাসিতা নয়, বরং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয়। কম ঘুমে শরীরে সাইটোকাইন নামক সংক্রমণ প্রতিরোধী প্রোটিনের উৎপাদন কমে যায়। প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা দিনে ৬ ঘণ্টার কম ঘুমান, তাঁদের অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি।
২) ‘রেইনবো ডায়েট’ মানে রঙিন খাবার খান: একটি সঠিক এবং ব্যালেন্সড খাবারের প্লেট হতে পারে সবচেয়ে বড় ইমিউনিটি বুস্টার। ফল, সবজি ও হোল গ্রেনস ভরপুর থাকুক প্রতিদিনের ডায়েটে। ভিটামিন সি (আমলকি, কমলালেবু), জিঙ্ক (সিডস, ডাল) এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের দিকে খেয়াল রাখুন। এগুলি শ্বেত রক্তকণিকা (WBC)-র কার্যকারিতা বাড়ায়। পাশাপাশি দই, আচার ইত্যাদি ফারমেন্টেড খাবার খেলে পেট ভাল থাকে — এখানেই শরীরের ৭০%-এর বেশি ইমিউন সিস্টেমের রহস্য লুকিয়ে থাকে।
৩) হাইড্রেটেড থাকুন, দিনে কমপক্ষে ২.৫–৩ লিটার জল খান: জল শুধু পিপাসা মেটায় না, শরীরের লিম্ফ সিস্টেম সচল রাখে — যা ইমিউন সেল বয়ে নিয়ে চলে গোটা শরীরে। জল কম খেলে শরীর থেকে টক্সিন ঠিকমতো বেরোতে পারে না। বর্ষাকাল বা ভাইরাল জ্বরের সিজনে তুলসি, আদা, হলুদ দিয়ে হার্বাল টি খাওয়া দারুণ উপকারি।
৪) নিয়মিত শরীরচর্চা করুন: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিটের হালকা বা মাঝারি এক্সারসাইজ যেমন হাঁটা, যোগাসন বা স্ট্রেচিং করলে রক্তসঞ্চালন ভাল হয় এবং ইমিউন সেল সারা শরীরে সঠিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। এই অভ্যাস স্ট্রেসও কমায়।
5) স্ট্রেস কমান, মন হালকা রাখুন: দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকা স্ট্রেস শরীরে কর্টিসল হরমোন বাড়িয়ে ইমিউন সিস্টেম দুর্বল করে দেয়। মাইন্ডফুলনেস, ব্রিদিং এক্সারসাইজ, নিয়মিত স্ক্রিন বিরতি নেওয়া — এই অভ্যাসগুলো কর্টিসল কমিয়ে মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য দু’টোই ভাল রাখে।
৬) হেলথ চেক-আপ এড়াবেন না: নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা যেমন ভিটামিন ডি, বি১২, ব্লাড সুগার, লিভার ফাংশন টেস্ট করলে জানা যায় শরীরে কোনও পুষ্টিগুণের ঘাটতি আছে কিনা। আগে জানলে, আগেভাগেই পদক্ষেপ করে তা ঠিক করে নেওয়া সম্ভব।
৭) হাইজিন বজায় রাখুন: বারবার হাত ধোওয়া, মোবাইল বা দরজার হাতল স্যানিটাইজ করা, ব্যক্তিগত জিনিস (চিরুনি, তোয়ালে) ভাগাভাগি না করা— এসব ছোট অভ্যাসও ব্যাকটেরিয়া-ভাইরাস ছড়ানো রোধে কার্যকর, বিশেষ করে বর্ষাকালে।
ইমিউনিটি বাড়ানোটা কিন্তু কোনও ম্যাজিক নয় — বরং প্রতিদিনের জীবনযাত্রায় ছোট ছোট পরিবর্তন আনলেই বাড়বে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা।